Tuesday, June 9, 2009
স্পেনে বংলাদেশীরা বৈধ হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে !
সাহাদুল সুহেদ : বাংলাদেশ থেকে আনা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্টকে স্পেন সরকার নকল বলে অভিযোগ করায় অবৈধ বাংলাদেশীরা বৈধ হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল থেকে বৈধ হওয়ার জন্য বাংলাদেশীদের আবেদন শুধু মাত্র এই কারণ দেখিয়ে স্পেন হোম অফিস গণহারে বাতিল করছে। ভুক্তভোগী বাংলাদেশীদের এই সমস্যা সমাধানকল্পে করণীয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য গত ১০ মে রবিবার বার্সেলোনায় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ও স্পেনের মানবাধিকার সংগঠন সেরভিই সলিদারি পৃথক পৃথক সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, বার্সেলোনার কার্যালয়ে বাংলাদেশীদের বাতিল হওয়া আবেদন ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের কপি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ কপিগুলো মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানোর পর বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবেন বলে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, বার্সেলোনার সভাপতি সুরুজ্জামান জামান আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ভিস্তালেগরে রোডের একটি হলে মানবাধিকার সংগঠন সেরভিই সলিদারি এর উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, একমাত্র বাংলাদেশ সরকারের কুটনৈতিক তৎপরতাই হতে পারে এ সমস্যার সমাধান। কিছু দিন পূর্বে পাকিস্তানী ও নাইজেরিয়ানদের আবেদন একই অভিযোগে বাতিল হলে তাদের স্ব স্ব দেশের রাষ্ট্রদূতের সরাসরি হস্তক্ষেপে বিষয়টির সুরাহা হয়। এক্ষেত্রে স্পেনস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্র দূতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ভুক্তভোগীরাও তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সমস্যা সমাধানকল্পে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
স্পেনে এক নাগারে তিন বছর অবস্থান করলে বৈধ হওয়ার সুযোগ থাকায় নির্দিষ্ট সময় পার হওয়া অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীরা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সহ বৈধ হওয়ার আবেদন জানায়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আনা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্টকে নকল অভিযোগ করে ক্রমান্বয়ে সকল আবেদনকেই স্পেন সরকার বাতিল করে দিচ্ছে। অথচ দেখা যায় যে বাতিল হিসেবে গণ্য হওয়া বাংলাদেশীদের প্রতিটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্টে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার শিল সাক্ষর এবং বাংলাদেশের নোটারি পাবলিক অফিসার ও পর রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িতের পাশাপাশি স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়ন করা রয়েছে। কিন্তু কেন এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিপোর্টকে নকল বলে স্পেন হোম অফিস আবেদনগুলো বাতিল করছে, তা কারোর বোধগম্য নয়। আবেদনগুলো বাতিল হওয়ায় নতুনভাবে আবেদন করতে সাহস পাচ্ছেন না অবৈধ বাংলাদেশীরা। আর তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত স্পেন সরকারের উচ্চ মহলে বিষয়টি সুরাহার জন্য চেষ্টা করলে বাংলাদেশীরা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment